মানুষের শরীরে যদি রুহ না থাকে তাহলে সে শরীরের কোন দাম নেই তাকে মানুষ বলা হয় না অনুরূপভাবে একজন ছাত্রের ভিতরে যদি লক্ষ্য না থাকে তাহলে তাকে ছাত্র বলা হয় না।
সমাজে কিছু ছাত্র দেখা যায় যে তারা তাদের জীবনে সফল হতে পারে না এর মূল কারণ কি? এর মূল কারণ শুধু এটাই যে তারা হয় তাদের জীবনে কোন একটা লক্ষ্য উদ্দেশ্য বানায়নি কিংবা তাদের জীবনে তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ছিল কিন্তু তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য যে গুণগুলো প্রয়োজন ছিল সে গুলো তারা বানাতে পারেনি। যে শর্তগুলো প্রয়োজন ছিল তারা তাদের জীবনে সেগুলো পালন করেনি ।তারা জীবনে সফল হওয়ার জন্য তাদের কোন ধরনের আবেগ ছিল না।
আমরা সবাই দশরথ মাঝির নাম শুনেছি। যাকে (The Mountain Man) বলা হয়।
দশরথ মাঝি জীবনটাকে একটি জুনুন কিংবা আবেগ বলা যেতে পারে। যখন তিনি বলেছিলেন,
“এই পাহাড় কেটে রাস্তা বানাইয়া ছাড়বো”
দশরথ মাঝি তিনি বিহার রাজ্যের গেহলৌর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। গয়া জেলার নিকটবর্তী এই গ্রামটিও আক্রান্ত ছিল জাতপ্রথা,দুর্নীতি, বঞ্চনা, নির্যাতন, বর্ণপ্রথায়। এসব ছাড়াও আরও বড় একটি সমস্যা ছিল সেই গ্রামে, শেষ প্রান্তে প্রাচীরের মত মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিল বিশাল এক পাহাড়, বাইরের দুনিয়া থেকে যা বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল সেই গ্রামকে, দৈনন্দিন কাজে এই পাহাড়কে টপকাতে হত তাদের। পাহাড়ের এপারে পানি, বিদ্যুৎ সুবিধা তো দূরের কথা, নেই কোনো স্কুল বা হাসপাতালও। এই গ্রামের মানুষদের জীবনের মৌলিক চাহিদাগুলো মেটাতে প্রতিদিন চার মাইলের পথ পাড়ি দিতে ৪০ মাইল পথ ঘুরতে হতো, কিংবা পায়ে হেঁটে ডিঙ্গোতে হত ৩০০ ফুট উঁচু পাহাড়।
প্রতিদিন দশরথ মাঝিকে পাহাড়ের ওপারে যেতে হত কাজ করতে। এবং তার স্ত্রী ফাগুনিয়া পাহাড়ের ওপারে দশরথকে খাবার দিতে যেতো। সেটা খুবই বিপদসংকুল।তাই দশরথ সবসময় আশংকায় থাকতো স্ত্রীকে নিয়ে, কবে না কোন দুর্ঘটনা ঘটে যায়। একদিন দশরথের আশংকায় সত্য হলো। পাহাড় ডিঙ্গিয়ে খাবার পৌঁছাতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হলেন স্ত্রী ফাগুনিয়া। কিন্তু হাসপাতাল যে ৭০ কিলোমিটার দূরে! ফলে হাসপাতালে নেবার পথেই বিনা চিকিৎসায় স্ত্রীকে হারান দশরথ। সেই মুহুর্তেই পুরো পৃথিবীটা যেন শূন্য হয়ে গিয়েছিল দশরথের! জীবনটাই এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল তার।
বার বার মনে হচ্ছিল এই পাহাড়টা না থাকলেই সব অন্যরকম হতে পারত। যদি পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে একটা রাস্তা থাকত!
পাহাড়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা, ক্ষোভে বিষিয়ে উঠে তার অন্তর।
চোয়ালবদ্ধ শপথ নেন তিনি, যে করেই হোক এই পাহাড় চিরে তৈরি করবেন রাস্তা।
তিনি তিনার ছাগলটি বেচে দিয়ে কিনলেন হাতুড়ি আর শাবল । এ পাহাড় যেন আর কারো প্রাণ নিতে না পারে তাই সিদ্ধান্ত নিলেন একাই এ পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি করবেন তিনি। এমন অসম্ভব কল্পনা কোনো পাগল ছাড়া কেউ করতে পারে না বলে হেসেই উড়িয়ে দেয় সবাই। কিন্তু দশরথ তার সঙ্কল্পে অটুট।
কিন্তু দশরথ দমেননি, একটাবারের জন্যও থামেননি।
এটাও মানুষের জীবনে পাওয়া যায় যে কেউ যদি তার জীবনে লক্ষ্য বানায় তাহলে অনেকে তা লক্ষ্যটাকে শুনে কেউ দেখে তার ওপরে কাম করতে দেখে অনেক মানুষই তার সাথে ঠাট্টা হাসি মজা করে তাকে অনেকে তানা দেই তুমি তোমার এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে জীবনেও পারবে না।
এই কথা গুলো শুনে অনেকে তাদের জীবনে সফল হয়েছে।
দশরথ পাহাড় কাটা শুরু করেছিলেন ১৯৬০ সালের দিকে। এর প্রায় বাইশ বছর পর ১৯৮২ সালে তিনার পাথর কাটা শেষ হয়। পাহাড়ের বুক চিরে তখন তৈরি হয়েছে ৩৬০ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট চওড়া একটি পথ।
ফাল্গুনির প্রতি ভালবাসার জন্য গেহলরের সহায় সম্বলহীন দশরথ মাঝি বাইশ বছর ধরে একাই কেটে গেছেন পাথুরে পাহাড়।
দশরথের এই জীবন কাহিনী নিয়ে ২০১৫ সালে তৈরি হয়“Manjhi The Mountain Man” নামের একটি সিনেমা। বলিউডের প্রখ্যাত বায়োপিক নির্মাতা ‘কেতন মেহতা’ দশরথ মাঝিকে নিয়ে তৈরি করেন ‘মাঝি দ্য মাউন্টেন ম্যান’ সিনেমাটি। সেখানে দশরথ মাঝির চরিত্রে অভিনয় করেন গুণী অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী, আর তার স্ত্রীর ফাল্গুনীর চরিত্রে অভিনয় করেন রাধিকা আপ্তে।
দশরথ মাঝি বলেন,
আমি আমার কাজের মাধ্যমে সবাইকে একথা বিশ্বাস করাতে চেয়েছি যখন ঈশ্বর আপনার সাথে থাকবেন কেউ আপনাকে থামাতে পারবে না”। “আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমার গ্রামের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবো। আমি কোনো সরকারের কোনো শাস্তির পরোয়া করিনা। একই ভাবে কোনো পদক বা পুরষ্কারের জন্যও লালায়িত নই।
আর আজকে আমরা খালি মাঠে গোল দিতে চাই। বিনা পরিশ্রমে অনেক কিছু হাসিল করতে চাই। এটা অনেক বড় ভুল , গাছ থাকলে ফল পাওয়া নিশ্চিত। হয় সে অল্প সময়ে কিংবা একটু দেরিতে।
তার জন্য তাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে।
যখন কোনো ছাত্র তার জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কে বেছে নেয় এবং সেটাকে তার জীবনের মাকসাদ তৈরি করে নেই তখন দেখা যায় সে 6 বলে 6 টি উইকেট পেতে চায় অবশ্যই তাকে 6 বলে 6 টি উইকেট পাওয়ার চেষ্টা রাখতেই হবে। তাকে ছটি বল করতে হবে তাকে আশা রাখতে হবে সে ছয় বলে ছয়টি উইকেট পেতে পারে সে রকম আশা না রাখে তাহলে সে 6 বলে ছয় টি সিক্স খেতে পারে। তাকে তার উইকেট পাওয়ার জন্যে প্রচন্ড চেষ্টা-প্রচেষ্টা করতে় হবে ।তার জন্য যত পরিশ্রম এর দরকার তাকে তত পরিশ্রম করতে হবে শুধু মুখেই বলে দিলে হয় না এসে ছটি বল করবে এবং তার মধ্যে ছয়টি ছয় বলে উইকেট পেতে পারে হয়েছে হ্যাটট্রিক উইকেট পেতে পারে কিংবা হয়েছে একটি উইকেট পেতে পারে আবার নাও পেতে পারে কিন্তু তাকে তার জন্য চেষ্টা প্রচেষ্টা পরিশ্রম করতে হবে তাহলে আশা রাখতে পারে সে উইকেট পেতে পারে।
একজন ছাত্রকে জীবনের সব সময় বি পজেটিভ থাকতে হবে কখনো মাথায় নেগেটিভ নিয়ে আসতে হবে না যে কোন কাম করতে গেলে যদি সে ফেল হয়ে যায় তো তাকে তার মাথায় বি পজিটিভ আঁকতে হবে ফেল করা মানে না যে সে আজীবন সে কাজ করতে পারবে না বরং আবার সুযোগ তার জন্য।
কোন ছাত্র যদি সে তার কোন পরীক্ষায় ফেল হয়ে যায় তাহলে তাকে কোন দুঃখিত হওয়া দরকার নেই । ফেল মানেই তো
F= “First”
A=”Attempt”
I=”In”
L=” Learning”
“শেখার প্রথম প্রচেষ্টা”।
কেননা তার সেই ফেল করা বিষয়টা জন্য সে যে টাকাটা পরীক্ষার জন্য দিবে সে নিজেকে ভেবে নেয় সে তার একটা টিউশনি এর জন্য দিচ্ছে ।সে যেনো নিজে নিজেকে টিউশন ভাবে। অনেকে আছে যারা পরীক্ষা দেওয়ার আগে তারা পড়ে না কিন্তু যখন তারা কোন বিষয়ে ফেল করে তখন তারা অনুভব করে তাকে কতটা পড়া দরকার ছিল এবং তারপর যখন সে তার পড়াশোনা শুরু করে
এক অন্য ধরনের পড়ার আবেগ জেগে উঠে সে অনেক কিছু সেখান থেকে অর্জন করে।