Noble Character: The Foundation of Islamic Life ইসলামী সুন্দর চরিত্র

ইসলামী সুন্দর চরিত্র

মানব জীবনে চরিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। চরিত্রবান মানুষ সমাজ ও জাতির গর্ব। ইসলাম এমন এক পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যেখানে সুন্দর চরিত্র গঠনের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেনঃ
“আর তুমি অবশ্যই মহৎ চরিত্রের অধিকারী।” (সূরা ক্বালম: ৪)

ইসলামে চরিত্রের গুরুত্ব

নবী করিম (সা.) এর সমগ্র জীবনই সুন্দর চরিত্রের বাস্তব নমুনা। তিনি বলেছেন— “তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যার চরিত্র সর্বোত্তম।” (সহিহ বুখারি) অতএব একজন প্রকৃত মুসলমানের পরিচয় কেবল নামাজ, রোজা বা ইবাদতে নয়; বরং তার আচরণ, কথাবার্তা, সততা, সহনশীলতা, দয়া ও নম্রতায় প্রকাশ পায়।

সুন্দর চরিত্রের উপাদান

১. সত্যবাদিতা – মিথ্যা থেকে বিরত থেকে সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা।
২. অমানতদারিতা – দায়িত্ব পালন ও বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখা।
৩. ধৈর্য ও সহনশীলতা – বিপদের সময় আল্লাহর উপর ভরসা করা।
৪. ভালো ব্যবহার – ছোট-বড়, ধনী-গরিব সবার সাথে সমান আচরণ করা।
৫. ক্ষমাশীলতা – অন্যের দোষ ক্ষমা করা এবং প্রতিশোধ না নেওয়া।
৬. নম্রতা ও বিনয় – অহংকার পরিহার করে সবার সাথে সৌজন্যতা রক্ষা করা।

وعن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما قال‏:‏ لم يكن رسول الله صلى الله عليه وسلم فاحشاً ولا متفحشاً‏.‏ وكان يقول‏:‏ “إن من خياركم أحسنكم أخلاقاً” ‏(‏‏(‏متفق عليه‏)‏‏)‏‏.‏

আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আল-আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অশ্লীল বা যে লোকেদের হাসানোর জন্য অশ্লীল-মন্দ কথা বলে বলতেন না। তিনি বলতেন: “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি হলেন তারা যাদের চরিত্র সর্বোত্তম।” (সম্মত)

The best of you is the best among you in behaviour.

Here’s the examples that should be in your.

বিনয় ও নম্রতা: Modesty and humility
সত্যবাদিতা: Truthfulness
আমানতদারিতা: Trustworthiness
বাবা-মায়ের প্রতি সদ্ব্যবহার: Good treatment towards parents
আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা: Maintaining kinship ties
প্রতিশ্রুতি পূরণ : Fulfilling promises
প্রতিবেশীর প্রতি সদাচরণ : Kindness towards neighbors
ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা : Patience and tolerance
লজ্জাশীলতা : Shyness
ন্যায়পরায়ণতা : Justice
দয়া ও করুণা : Kindness and mercy

রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘তোমরা আমার জন্য ছয়টি বিষয়ের দায়িত্ব নাও, আমি তোমাদের জন্য জান্নাতের দায়িত্ব নেবো: সত্য বলা, আমানতের খেয়ানত না করা, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা, দৃষ্টি অবনত রাখা, হাত সংযত রাখা এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করা।

The Messenger of Allah (peace be upon him) said, “Take responsibility for six things for me, and I will take responsibility for Paradise for you: telling the truth, not betraying a trust, keeping one’s promises, lowering one’s gaze, restraining one’s hands, and guarding one’s private parts.

সমাজে সুন্দর চরিত্রের প্রভাব

একজন সুন্দর চরিত্রের অধিকারী মানুষ পরিবার, সমাজ ও জাতিকে আলোকিত করে। তার আচরণ মানুষের হৃদয় জয় করে, দ্বীন প্রচারে সহায়ক হয়। ইসলামের ইতিহাসে সাহাবায়ে কেরামরা তাদের উত্তম চরিত্রের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষকে ইসলামের পথে এনেছেন।

সুন্দর চরিত্র মুসলমানের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। একজন মুসলমানের জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত মহানবী (সা.)-এর অনুসরণ করে আদর্শ চরিত্র গঠন করা। কারণ, সুন্দর চরিত্রই মানুষকে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতার পথে পরিচালিত করে।

Share this with your friends

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *