বর্তমানে ভারতবর্ষ, রাজনীতি ও মুসলমান।
ভারতবর্ষ হল একটি সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম যুগ থেকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে ভারতীয় ভূখণ্ডের অধিকাংশ অঞ্চল নিজেদের শাসনাধীনে আনতে সক্ষম হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এই দেশ সম্পূর্ণরূপে একটি ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়। ভারত বর্ষ প্রায় দু’শো বছর ধরে ইংরেজদের অধীনে গোলাম ও ক্রীতদাস হয়ে থাকে। কতই না ছিল তাদের নির্যাতন জুলুম অত্যাচার। অনেক নির্যাতন ও জুলুমের পর ইংরেজদের কাছ থেকে সে 1947 সালের 15 আগস্ট পৃথিবীর সুন্দরময় রূপবান স্থানে সে নিজেকে একটি ভারত বলে পৃথিবীর মানচিত্রে নিজের দাগ ও চিত্র টেনে দেয়।এবং স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এই ভারতবর্ষ হল বহু ভাষার দেশ। এই ভারতবর্ষ নানা ধরনের লোক বসবাস কারি, বহু ধর্মের লোক বসবাস কারি। এবং এই ভারত বর্ষ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের দেশ। ভারতের অর্থনীতি বৈচিত্র্যময়। কৃষিকাজ, কুটিরশিল্প হস্তশিল্প, বস্ত্রশিল্প, উৎপাদন, এবং বিভিন্ন সেবা ভারতের অর্থনীতির অংশ।যেমন ভারত বর্ষ পৃথিবীর মানচিত্রে নিজের স্থান করে নেই অনুরূপভাবে ভারতবর্ষে বুকে নানা ধরনের রাজনৈতিক দল ও অবস্থান করে নেই। আমরা দেখতে পাবো ভারতের বুকে বিভিন্ন ধরনের জাতীয় রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন রাজ্য স্তরের রাজনৈতিক দল গড়ে উঠেছে । ভারতের রাজনৈতিক অবস্থা দেখার আগে আমাদের ভারতের ইতিহাসের পাতা গুলো উলট-পালট ও এলোমেলো করে দেখা দরকার। মুসলমান ও বাদশাহদের শাসনের আমলে হিন্দুস্তানে নিম্নবর্ণের হিন্দু ও ধর্মান্তরিত মুসলমানদের মধ্যে সম্বন্ধ ও সংযোগ যেকোনো সময় উৎকৃষ্ট থেকেছে। মুসলমান আমলে সুলতান বাদশাহ দের শাসন অবস্থায় অনেক হিন্দু উচ্চপদে অধিষ্ঠিত ছিল মোঘল আমলে এমনকি ঔরঙ্গজেবের আমলে ও দরবারের সেনাবাহিনীতে হিন্দুদের উপস্থিতি ছিল।২০১১ সালের জনগণনা তথ্য অনুযায়ী, ভারতের জনসংখ্যা ১২১ কোটিরও বেশি; যা সমগ্র বিশ্বের জনসংখ্যার এক-ষষ্ঠাংশ।ভারতের মোট জনসংখ্যার ৭৯.৮ শতাংশ হিন্দু।
অপরদিকে মুসলমানদের সংখ্যা ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৪.২ শতাংশ। বিশ্বের সামগ্রিক জনসংখ্যার ১৭.৫% ভারতের অধিবাসী। ভারতের জনসংখ্যা 180 বেগে ছুটে চলেছে যা দশ বছর পর ভারত চিন কে অতিক্রম করতে পারে। কয়েক বছর আগে বেসরকারী একটি সমীক্ষার মতে ভারতে প্রায় ১৮-২০ কোটি লোক মুসলিম। আমেরিকার একটি পত্রিকার মতে ভারতে মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশের মতো। ভারত কখনোই নাকি মুসলিমদের সঠিক সংখ্যা জানায় না। আমরা সবাই জানি যে ভারতে চৌদ্দ বছর বয়স পর্যন্ত সব শিশু শিক্ষা অর্জন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এটি কে নিশ্চিত না করার জন্য অনেক শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু আমরা যদি শিক্ষা ক্ষেত্রে মুসলিমদের অবস্থা দেখি তো আমরা দেখবো করুণ ও শোচনীয়। বলাবাহুল্য যে উচ্চশিক্ষাতে মুসলিমদের অবস্থা খুব খারাপ বললেই চলে । অনেকে আবার বলেছেন বলছেন বলতে থাকবে মুসলিমরা নাকি ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসায় পাঠান, স্কুলে নয়। তাই তাদের সঠিক শিক্ষা হয়না। আমরা জানি যে সাচার কমিটির এই ব্যাপারেও সমীক্ষা চালায় ।সাচার রিপোর্ট মোতাবিক মুসলিম শিশুদের মধ্যে মাত্র ৪% মাদ্রাসায় যায়। আমরা যদি ভারত স্বাধীন হওয়ার সময় দেখি আমরা দেখতে পাব চাকরীতে মুসলিমদের অবস্থান ছিল যথেষ্ট খুব ভালো। তখন চাকরিতে মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব ছিল ৩৪%। আমরা জানি যে ১৮৫৮ সালের গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়া অ্যাক্টের ৩২ নম্বর সেকশনের অধীন ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস গঠিত হয়।১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের আগে দেখা গেল এক হাজার ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তার মধ্যে ৩২২ জন ছিলেন সর্বভারতীয় এবং বাকি ৬৮৮ জন ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। অন্য দিকে, ভারত ভাগের সময় আইসিএস কর্মকর্তার সংখ্যা কমে দাঁড়াল ৯৮০ জনে। এদের মধ্যে ৪৬৮ জন ছিলেন ইউরোপীয়, ৩৫২ জন হিন্দু, ১০১ জন মুসলিম এবং বাকি ৫৯ জন ছিলেন অন্যান্য ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ভুক্ত। দেশের 8,417 আইএএস এবং আইপিএস অফিসারদের 3.46 শতাংশ মুসলমান। প্রতিটি 5 লাখ 3 লাখ মুসলমানের মধ্যে একটি আইএএস বা আইপিএস অফিসার রয়েছে, যার তুলনায় প্রতি 1.08 লক্ষ অমুসলিমদের মধ্যে একজন। এখন সিভিল সার্ভিসে মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব 3% থেকেও কম।সরকারি চাকুরিতে মুসলমানদের খুঁজে পাওয়া অনেক সমস্যার কাজ হয়ে পড়েছে । এর মানে স্পষ্ট এই যে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর থেকে মুসলমানদের উপর শোষণ হয়ে চলেছে। মুসলমানদের অবস্থার একটু উন্নতি হয়নি বরং মহা অবনতি হয়েছে।মুসলিমদের আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে ইন্দিরা গান্ধী ১৯৮০ সালে গোপাল কৃষ্ণ কমিশান নিয়োগ করেন। এই কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী মুসলিমরা শুধু বেকারই নয়, কিছু কিছু এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ তাদের নাম নথিভুক্ত করতেও অস্বীকার করে। এই রিপোর্টে আরো বলা হয় আশির দশকে মুসলিম আই.এ.এস অফিসারের হার ছিল মাত্র ৩.২৭ শতাংশ, আই.পি.এস অফিসারের হার মাত্র ২.৭ শতাংশ এবং অনান্য কেন্দ্রীয় সরকারী চাকরিতে তাদের হার মাত্র ১.৫৬ শতাংশ। এমনকি রাজ্য স্তরের চাকরিতেও মুসলিমদের হার মাত্র ৬.০১ শতাংশ। অথচ এই রিপোর্ট প্রকাশের ৩০ বছর পরেও মুসলিমদের অবস্থা একই রয়ে গেছে কোন উন্নতিই হয়নি। সরকার কোন ব্যবস্থাও নেয়নি।এই সব থেকে এটাই পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে যে মুসলিমদের সংখ্যার অনুপাতে চাকরিতে তাদের প্রতিনিধিত্ব খুবই কম। বার বার কমিশন গঠন করা হয়েছে, কমিশন রিপোর্ট দিচ্ছে । সুপারিশও করেছে। কিন্তু সরকার কোন রকমের উদ্যোগ নেয়নি। তাই মুসলিমদের অবস্থার উন্নতিও হয়নি। মুসলিমদের অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে, হচ্ছে, হয়ে চলেছে।কোথায় যেন নির্যাতন, কোথাও আবার নিপীড়ন। আজকে বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য পরিবেশ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। কাওকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফাসি দিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হতে হচ্ছে। কাওকে আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে গুম করে দেওয়া হচ্ছে। আজকে কেউ কলেজ শিক্ষা অর্জন করতে যাচ্ছে সে জিবন্ত রূহ নিয়ে ফিরে আসতে পারছে না। এগুলো ঘটনা কেন ঘটছে, কিসের জন্য ঘটছে কারা ঘটাচ্ছে। কোন রাজনৈতিক দল ঘটাচ্ছে কিংবা কোন ধর্মীয় দল ঘটাচ্ছে।আজকে আসামে কি হচ্ছে যারা 90 বছর ধরে বসবাস করে আসছে তাদের কাছ থেকে আজ তাদের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে বঙ্চিত করা হচ্ছে। এটা আসলে আসামের সমস্যা নয় এটা আমাদের জন্য সমস্যা বলাবাহুল্য এটা ভারতের জন্য সমস্যা। আজকে দলিত দের সাথে জুলুম ও অত্যাচার করা হচ্ছে। আমাদের ভারতবর্ষে ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হয়েছে তারা বলে তারা দেশের সংবিধান বদলে দিবে আসলে তারাই তো সংবিধানকে মানে না শুধুমাত্র মুখে বলে। আজ জঙ্গিবাদ ও সৃষ্টি হয়েছে যেটা আমরা অস্ত্রধারী ধর্মগোস্ঠী বলতে পারি। কেননা তারা নিজেরা ক্ষমতায় আছে বলে যেভাবে চাই ক্রিকেট খেলবে যেভাবে চাই বল প্রয়োগ করবে।
আজকে ভারতবর্ষে জঘন্যতম আইন পাশ করা হয়েছে Homosexuality সমকামিতা পরকীয়া করার সম্মতি অজ্ঞা দিচ্ছে। মেয়েদের জন্য ভারত কতখানি নিরাপদ বা অনিরাপদ? বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে আমেরিকায়। এবং তালিকায় চার নাম্বারে আসে আমাদের ভারত।
প্রতি ২২ মিনিটে ভারতে একটি করে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। নারীদের জন্য বিশ্বের অন্যতম বিপদজনক রাষ্ট্র হয়েছে ভারত। আজ গাড়িতে, বাড়িতে, দিবালোকে, রাতের অন্ধকারে, মন্দিরে, প্রকাশ্য রাস্তায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, মন্দিরে,নারীদের ধর্ষন করা হচ্ছে। কোথাও আবার কাউকে গণধর্ষণ করছে ধর্মের সাজ নিয়ে। তথা যে কোনো স্থানে নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। মানবতা আজ কোথায় গেল। বিভিন্ন আদালতের তথ্য বলছে, ২০১২ থেকে ২০১৬, এই পাঁচ বছরে ভারতে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে ৬০ শতাংশ। ২০১৬ সালে ভারতে ধর্ষণের যে মোট ৩৯ হাজার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, তার ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রেই ধর্ষণের শিকার হয়েছিল শিশুরা।পাষণ্ডদের হাত থেকে ছয় বছরের কম বয়সী শিশুরাও রেহাই পায়না।শিশু হত্যা শিশু ধর্ষন বাড়ছে দিনে দিনে, ছয় থেকে ১২ বছরের শিশুরা ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪-৫ শতাংশ।১২ থেকে ১৬ বছরের কিশোরীরা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন প্রায় ১৮ শতাংশ । কোথায় গেল ভারতের আইন ভারতের পুলিশ প্রশাসন। কঠোরতর করা হয়েছিল ধর্ষণ আইন। ধর্ষক গেপ্তার হচ্ছে, বিচার হচ্ছে, জেল থেকে বাইরেও চলে আসছে।তবুও ধর্ষণের সংখ্যা কমছে না। কোথায় গেল নতুন ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। কোথায় গেল ধর্ষকের শাস্তি। তারা বলে বলে চিহ্নিত করেছিল১৬ বছরের নীচে কোন মেয়েকে ধর্ষণ বা গণধর্ষণ করলে অভিযুক্তরা কোনভাবেই আগাম জামিন পাবেন না। ১২ বছরের নিচে শিশু ধর্ষণের শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। ১২ থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত মেয়েদের ধর্ষণের জন্যে কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে। যে কোন ধর্ষণের ক্ষেত্রে নূন্যতম সাজা সাত বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে। কোথায় গেল শাস্তি তবুও আজ ধর্ষণের সংখ্যা কমছে না বরং 180 বেগে এগিয়ে যাচ্ছে। যে সাংসদে আমরা ধর্ষন রূখার জন্য লোক পাঠিয়ে ছিলাম সেই সাংসদের লোক ধর্ষন করছে। ভারত স্বাধীন হওয়ার পরও 19.4 কোটি মানুষ তারা অনাহারে সাথে দিন কাটাচ্ছে তারপরও কোথায় যেন 3000 কোটি টাকা দিয়ে মূর্তি স্থাপন করতে চলেছে এর চাইতে লজ্জাকার আর কি হতে পারে। এটা একটা ধর্মনিরপেক্ষ দেশের জন্য খুবই লজ্জাকর বিষয়।বর্তমানে ভারতবর্ষের সরকার কোথায় কার নাম পরিবর্তনে দরকার তাতেই ব্যাস্ত। ভারতে কৃষির ইতিহাস সুপ্রাচীন। প্রায় দশ হাজার বছর আগে এই ভূখণ্ডে কৃষিকাজের সূচনা হয়। ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে শত শত বছর ধরে চালু আছে জৈব চাষ৷ ভারতের প্রধান কৃষি অঞ্চল। আজকে ভারতে হাজার হাজার কৃষকদের আত্মহত্যা করতে মাজবুর হতে হচ্ছে। কোথায় যেন কাউকে লাভ জিহাদের নামে হত্যা করা হচ্ছে।কোথাও আবার মুসলিম বলে হাফিজ জুনেদ কে হত্যা করল।পাহলু খান কে পিটিয়ে মারল। আব্দুল আজিম কে পিটিয়ে মারল আজ বারবার মনের ভিতরে প্রশ্ন জেগে উঠে ভারত কি সত্যিই ধর্মনিরপেক্ষ দেশ?যারা রামরাজ্যে’র স্বপ্ন দেখছে তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে দাঙা-হাঙ্গামা শুরু করে দিয়েছে। আজকে আমাদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
ভারতের মুসলিমদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য কয়েক বছর আগে ভারত সরকার এক বিশেষ কমিটি গঠন করে। 2006 সালের দিল্লি হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি Rajinder sacher এর নেতৃত্বে গঠিত সাচার কমিটি রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের সংখ্যা লঘুদের সামগ্রিক অবস্থা ভয়াবহ চিত্র একেবারে উপরে এসেছে। তারা বলেন মুসলমানদের অবস্থা অচুত্য দলিত এর চেয়েও খারাপ।সর্বভারতীয় ইংরাজী নিবন্ধকার Dr. S. Ausaf Saied Vasfi লিখেছেন,“Muslim Condition is worse than that of Dalits. The only ‘sector’ where Indian Muslims are more than adequately represented in Jail.” (মুসলিমদের অবস্থা দলিতদের থেকেও খারাপ। একমাত্র সেক্টর যেখানে ভারতীয় মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে ব্যপকতর তা হল জেল)। দশ চক্রে ভগবান ভূত এটি একটি বাংলায় যুক্তি আছে মানে দশ জন মিলে নেই কে অন্যায় বলে অখ্যায়িত করা এটাই হচ্ছে এমন ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা। ভারতে কিছু দিন ধরে গো হত্যা নিয়ে যেসব ঘটনা ঘটছে তার পেছনে আসলে রাজনৈতিক কারণ এসব নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘটায়। সাংবিধানিকভাবে ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এ সময় বিজেপি ধর্মীয় গোড়ামির অন্ধ অনুসারী মৌলবাদের হাতে ভারতের রাজনৈতিক সিংহাসন অন্ধকারের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তারা নিজেরাই দেশে আগুন লাগাচ্ছে আমরা দেখি আজম গড়ে স্থানীয় একটি মন্দিরে গরুর মাংস খন্ড ছুটতে গিয়ে ধরা পড়ে সে একজন হিন্দু সে হিজাব পড়ে মাংস খন্ড ছুড়তে গিয়েছিল তাদেরই ছেলে সাব দেশাই অনুরূগে কে সে সেখানকার বাসিন্দাদের মতে একজন আর এস এস এর সক্রিয় কর্মী। উনিশ শতক ছিল হিন্দু জাগরণের কাল আর এস এর জাগরণের কাল আর সেই জাগরণের মধ্যে হিন্দুত্বের যে ছিল তারই এখন শাখা-প্রশাখা ছড়িয়েছে নরেন্দ্র মোদীর আর এস এস শিবসেনা AVBP। এখন যা দেখা যাচ্ছে হিন্দুত্ব যেভাবে ভারতের রাজনীতিতে প্রবল প্রভাব নয় অধিপত্য বিস্তার করে চলেছে এটা একটা ভয়াবহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে যাচ্ছে ভারতের মুসলমান ও ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য।
হে আমার ভারত ভূমি,
কোথায় গেলে আজকে তুমি।