বর্তমান তরুণ প্রজন্মে যে ধরনের শিক্ষা দেওয়া দরকার সে ধরনের শিক্ষা নেই।
সফলতা হওয়ার জন্য সব থেকে বড় যে নিজেকে বিশ্বাস করা ।
সে যদি নিজেকে বিশ্বাস না করে তাহলে সে কোনো দিন সফল হতে পারবে না।এবং সে যদি নিজেকে বিশ্বাস করে তাহলে তাকে সফল হতে কেউ বাধা দিতে পারবে না।
যদি কোন ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করা হয় ভারতবর্ষের জিনাকে প্রথম মিসাইল ম্যান বলা হয় তাঁর কেউ জীবনী পরেছে কিংবা ইউটিউবে তার জীবনী দেখেছে তাহলে সেভেন্টি ফাইভ পারসেন্ট ছাত্রী বলবে সে তারা তিনার জীবনী পড়েনি
এটাও হতে পারে যে উনাকে মিসাইল ম্যান বলা হয় ভারতের প্রথম এটাও হয়তো অনেকে জানেন না।
আবার কাউকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় কে কে শারুখ খানের সিনেমা দেখেছে তাহলে বেশির ভাগই ছাত্ররা বলবে আমরা দেখেছি।
আমার যদি ছাত্রদের বলা হয় ডাক্তার বি এ আম্বেদকার এর জীবনী কজন গুগোল এ সার্চ করেছে তাহলে বেশির ভাগই ছাত্ররা বলবে তারা ডাক্তার বি এ আম্বেদকর এর জীবনী গুগোল এ সার্চ করে নি।
আবার কাউকে যদি বলা হয় কেউ ক্যাটরিনা কাইফের জীবনী গুগল এ সার্চ করেছে তাহলে বেশীর ভাগই ছাত্র দের জবাব আসবে ক্যাটরিনা কাইফের জীবনী তারা গুগোল এ সার্চ করেছে।
তাহলে কোথায় থেকে ছাত্ররা ইন্সপায়ার হবে যাদেরকে জীবনী গুগলে সার্চ করে যাদের জীবনী ইউটিউবে ভিডিও দেখে ইন্সপায়ার হওয়া যায় তাদের যদি আমরা কোন লেকচার না শুনেই তাদের কোন আমরা জীবনী না দেখে তাদের যদি আমার জীবনে না পড়ি তাহলে কোথা থেকে ইন্সপায়ার হব। যাদের জীবনী পড়ে ইন্সপায়ার হওয়া যায় তাদের পড়া দরকার শুধু আমাদের কে গল্পের বুক পড়লে চলবে না শুধু আমাদেরকে যারা তাদের জীবনে সফল হয়েছে তাদের শুধু বই পড়াশোনা করলে চলবে না বরং তাদেরকে পড়াশোনা করা দরকার যারা তাদের জীবনে অনেকবার ব্যর্থতা হয়েছে যারা তাদের জীবনে অনেক বার ব্যর্থ হয়েছে তার পরে গিয়ে তারা সফল হতে পেরেছে তাদের জীবনী পড়তে হবে নচেৎ যারা সফল হয়েছে তাদের যদি আমরা জীবনী পড়ে তাহলে আমরা কোন কিছু পাবনা না বরং যদি যারা তাদের জীবনে অসফল হওয়ার পর ব্যর্থতা হওয়ার পর তারা তাদের জীবনে সফল হয়েছে তাদের যদি আমরা জীবনী পড়ে তাদের যদি আমরা বুক পড়ি তাদেরকে আমরা যদি নেটে সার্চ করে তাদেরকে আমরা যদি ইউটিউবে সার্চ করি তাহলে আমরা আমাদের একটা জীবনে ইন্সপায়ার হব। এবং সে ইনসপায়ার আমাদের একটা সফল হওয়ার রাস্তা দেখাবে এবং সেই রাস্তা দিয়ে আমরা যদি চলতে লাগি তাহলে আমরা সে রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে একদিন সফল হব।
যখন কেউ চিকেন খাই তাতে এক ধরনের স্বাদ পাওয়া যায় আবার সেই চিকেন এর সাথে যদি সবজি ও খাওয়া যায় তাহলে তাতে আবার অন্য ধরনের স্বাদ এসে যায়।
তাহলে শুধু আমাদেরকে সফল ব্যক্তিদের জীবনী পড়লে হবে না আমাদেরকে ব্যর্থতাদের জীবনীও পড়া দরকার যারা তাদের জীবনে ব্যর্থতা হয়েছে আবার তারপরে তাদের জীবনে সফলতা অর্জন করেছে।
আমরা সবাই মাইক্রোসফট এর প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে জানি আমরা কি কখনো বিল গেটস সম্বন্ধে ভেবেছি সে কি ভাবে তার জীবনে সফল হয়েছে কতগুলো সিঁড়ি পার হতে হয়েছে তার নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছাতে।
আজকে যুব সমাজ তালিম অর্জন করে ঠিকই কিন্তু তারা জানে না যে আজ বিজ্ঞান আজ অনেক এগিয়ে গেছে।
আমরা ছোটো বেলায় একটি কাহানী বার বার শিক্ষক দের কাছ থেকে শুনতে পেতাম একটি কচ্ছপ ও শিয়ালের । তারা একদা এক দিন একটি গেম খেলার কার্যসূচী করল কোন একটি জায়গাকে নির্দিষ্ট করল এবং তারা তাদের খেলাটাকে শুরু করল কে সেই নির্দিষ্ট জায়গায় আগে পৌঁছাতে পারে। শিয়াল সে অতি চালাক সে অনেক গতিতে এগিয়ে এসে আরাম নিতে নিতে সে শুয়ে পড়ল নির্দিষ্ট করা ছিল তার কিছু জায়গা আগে আর এবং কচ্ছপ কি করল সে আসতে আসতে যেতে থাকে এবং সর্বশেষে সে তার নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যায়।
এখানে আমরা ছাত্র দের এটাই বুঝতে হবে যে তোমার যত বড় হোক না কেন তুমি আস্তে আস্তে এগিয়ে চলো তুমি নির্দিষ্ট ঠিক তোমার জায়গায় পৌঁছে যাবে।
আবার আমরা যদি আমাদের লক্ষ্যে যেতে যেতে বিশ্রাম নেই কিছু সময়কে নষ্ট করি তাহলে তা আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিব না।
কিন্তু আজ যে শতাব্দীতে আমরা আমাদের জীবনকে অতিবাহিত করছি এটা একচুয়ালি বিজ্ঞানের জামানা বিজ্ঞান আজকে অনেক এগিয়ে চলেছে আজকে আমাদের সফল সফল হতে হলে একজন চতুর শিয়াল হতে হবে তাহলে আমরা অতি গতিতে এগিয়ে আমার নির্দিষ্ট আমরা জায়গায় পৌঁছাতে পারবো।
বর্তমান সময়ে আমাদের কচ্ছপ হলে চলবে না বরং কচ্ছপের জায়গাতে শিয়াল হতে হবে এবং বেগে ছুটতে হবে।