ইমামদের করণীয়!

ইমামদের করণীয়!

ইমামদের করণীয়!
লেখা: আরিফ সেখ

বর্তমানে প্রায় ইমামদের মধ্যে এক ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। তারা ১ থেকে ২ ঘণ্টার ইমাম শুধু নামায রোযার মধ্যে সীমাবদ্ধ। বৈষয়িক বিষয়ে তাদের কোনো ভুমিকা নেই সব নিয়ন্ত্রন করবে নিরক্ষর কর্ম কর্তারা। যার ফল স্বরূপ দেখা যায় মুসল্লিদের বিবেক উন্মোচন করতে ব্যার্থ। মুসল্লিরা নামায পড়ে ঠিক কিন্তু তাঁর পরিবর্তন মোদের দৃষ্টির নাগালে আসেনা। একজন ইমাম ২৪ ঘণ্টার ইমাম হবেন যেমন করে আমার নবী রাসূল (সাঃ)২৪ ঘণ্টায় নেতৃত্ব দিতেন। যেমন পরিস্থিতি সেমত নেতৃত্ব দিতে হবে নইলে মুসল্লিদের ব্যক্তিসত্তার উন্মেষ প্রতিফলিত করা অসম্ভব। মুসল্লিদের ব্যক্তিত্ব উন্নয়নের ক্ষেত্রে তেমন আলোচনা লক্ষ্য করা যায় না। নামায রোযার বাইরে যে এক বৃহত্তর জগৎ রয়েছে সে সমন্ধে ইমাম ই বেখেয়াল। শুধু নামায রোযার জন্য এই কুরআন অবতীর্ন হয় নি। কুরআন হচ্ছে মানবজীবনের পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। বাড়ি থেকে অফিস আদালত, রান্নাঘর ঘর থেকে রাষ্ট্রিয় ভবন, জন্ম থেকে নিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ইত্যাদী। কুরআনের ভাষা বুঝতে অক্ষম হলে সেইটা আপনার দুর্বলতা।لَقَدۡ یَسَّرۡنَا الۡقُرۡاٰنَ لِلذِّكۡرِ فَهَلۡ مِنۡ مُّدَّكِر
আর আমি তো কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য। অতএব কোন উপদেশ গ্রহণকারী আছে কি?
একজন ইমাম শুধু মসজিদের ইমাম নন তিনি যে এরিয়ায় থাকেন সেই সকলের নেতা, আর নেতা হিসেবে সব বিষয়ের নেতৃত দেওয়া তার ঈমানী দায়িত্ব। সমাজে অপকর্ম, অনাচার যত নোংরামি রয়েছে সব বিষয়কে কেন্দ্র করে সাপ্তাহিক খুৎবায় কুরআন হাদীস অনুযায়ী মুসল্লিদের সতর্ক করাও ঈমানী দায়িত্ব। আর এটা একটা মোক্ষম সুযোগ সকল বিষয়কে একত্রিত করে সাপ্তাহিক খুৎবা প্রদান করা।ইমামরা সম্মানীয় ব্যক্তি তাদের সাধারন ব্যক্তিবর্গরা প্রচুর পরিমাণে সম্মানের শীর্ষ স্থানে রাখেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আপনাকে দৃঢ় সংকল্প করে তাদের মণ মস্তিষ্ক কে যাচাই করে সচেতন করতে হবে। এই অশান্ত সমাজকে কিভাবে শান্ত শৃঙ্খল করা যায় সে বিষয়ে গভীর চিন্তা ( critical thinking)চেতনার উন্মেষ ঘটানো আপনার ঈমানী দায়িত্বের মধ্যে পরে। কোথায় বর্তমান সমাজ তথা রাষ্ট্রব্যাবস্থা, যেখানে মানবীয় মূল্যবোধ সম্পর্কে কোনো চেতনা রাখে না। পাশ্চাত্যরা বিশ্বাস করে “Honesty is policy”But ইসলামের শিক্ষা হলো “honesty is valuable”পাশ্চাত্যরা সততা নীতিতে বিশ্বাসী কিন্তু ইসলাম সততা মূল্যবোধে বিশ্বাসী। সেই পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি আমরা ধারণ করেছি বলেই লাঞ্ছিত হচ্ছি প্রতি মুহূর্তে, তাঁদের চলাফেরা, খাদ্যাভ্যাস, পোশাক, লাইফস্টাইল সব কিছুই ফুটে উঠছে আমাদের চরিতার্থে। যার জন্য প্রশান্তির লেশ টুকুও অনুভব করতে ব্যার্থ। আসুন ইসলামী সভ্যতা, (Civilization) সংস্কৃতি,(culture)ঐতিহ্য (tradition)কে ধারণ করি এবং জীবনের প্রকৃত অর্থ বুঝে সামনের দিকে অগ্রসর হই।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *