এনসাইক্লোপিডিয়া অফ রিলিজিয়া এমিথিউস এর ৬ নং খণ্ডে বলা হয়েছে, মুসলমানেরা ভারত শাসনের পূর্বে হিন্দুদের কোন ধর্মগ্রন্থে হিন্দু শব্দটি ছিল না। হিন্দু শব্দটির ব্যবহার ১৯ শতকে ইংরেজরা প্রথম ব্যবহার করেছিলেন। ১৮৩০ সালে হিন্দুনিজম শব্দটি একজন ইংরেজ লেখক দিয়েছিলেন। হিন্দু শব্দটি সঠিক নয়, এটি হবে সনাতন ধর্ম। হিন্দুনিজম কোন শব্দ হবে না, এটি হবে বেদান্তবাদী। অর্থাৎ, বেদের অনুসারী।*
একটি ভুল ধারণা আছে, ইসলামের উৎপত্তি ১৪ শতাব্দীতে হয়েছে এবং এর প্রবর্তক মহানবী (সঃ)। ইসলামের উৎপত্তি হয়েছে সৃষ্টির প্রথম থেকেই। পৃথিবীতে যখন মানুষ পা রেখেছে তখন থেকেই ইসলাম রয়েছে। মহানবী (সঃ) ইসলামের প্রবর্তক নন। তিনি হচ্ছেন ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী।
হিন্দুত্ব ও ইসলামের মধ্যে সাদৃশ্য হল, ইসলামে ইমান আনতে বলা হয়েছে। এই ইমান মূলত ছয়টি বিষয়ের উপর আনতে হবে। ১. স্রস্টার উপর ২. ফেরেশতাদের উপর ৩. নবী-রাসুলের উপর ৪. ইহকাল ও পরকালের উপর ৫. নিয়তির উপর ৬. কিতাবসমূহে বিশ্বাস। আসুন, এই বিশ্বাস নিয়ে আলোচনা করা যাক।
স্রস্টার উপর বিশ্বাসের ব্যাপারে কোন সাধারণ হিন্দুকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি তার স্রস্টার কথা বলবে। তিনি বলবে সূর্য দেবতা, চন্দ্র দেবতা ও অনেক দেবতার নাম বলবে। কিন্তু, একজন মুসলমান শুধু আল্লাহ্র কথা বলবে। হিন্দুরা সূর্যের, চন্দ্রের, আলোর ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিসের স্রস্টা বলেন, কিন্তু, মুসলমানেরা সবকিছু স্রস্টার বলে থাকেন।
হিন্দু ও মুসলমানের বোলার মধ্যে মূল পার্থক্য হল, হিন্দুরা বলবে স্রস্টা এবং মুসলমানেরা বলবে স্রস্টার। যদি এই একটি অক্ষর “র” বাদ দিতে পারি তাহলে মুসলমান ও হিন্দু এক হতে সমস্যা হবে না।