পৃথিবীতে আমরা অনেক ধরনের মানুষ দেখতে পাবো যে তাদের জীবনে একধরনের উদ্দীপনা জেগে গিয়েছিল। কেউ কাউরে ভালোবাসায় তাজমহল তৈরি করে দিয়েছে। কেউ কাউরে ভালোবাসায় পাহাড় কেটে পাহাড়ের বুকের উপর দিয়ে রাস্তা বানিয়ে দিয়েছে ।
আমরা জানি মোগল বাদশা শাজাহান তার বউয়ের ভালোবাসায় সে তাজমহল তৈরি করেছিল। আমরা জানি বিহারের দশরথ মাঝি তিনি তার একটা জুনুন তৈরি করে নিয়েছেন একটা অনেক বড় আশা করে নিয়েছিলেন যে পাহাড়ের জন্য আমার বউ আজকে মারা গেছে পাহাড়ের জন্য এত বড় সমস্যা হয়েছে আমি চাইনা যে এই পাহাড়ের জন্য আর কাউকে কোন সমস্যা হোক আমি এই পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি করব এবং সে অবশেষে তার ছাগল বিক্রি করে একটা হাতুড়ি এবং একটা ছেনি কিনে । এবং সে 22 বছর ধরে সে পাহাড়কে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে অবশেষে পাহাড়ের বুক চিরে রাস্তা তৈরি করে।
একজন ছাত্র একটি গ্রামে বসবাস করতো । তাদের পরিবার অনেক কষ্টের দিন কাটাতে হতো । কখনও কখনও তাদের চুলাই উনুন জ্বলত । কেননা না সে বাড়িতে না ছিল সে ছেলের বাবা। কিন্তু তার মা জীবনে একটাই জিদ করে নিয়ে ছিল সে যে করেই হোক তাকে অনেক বড়ো করে তুলবে কিন্তু ছেলেটি ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। সে তার পরিবারকে দেখে পড়তে চাইনা কিন্তু তার মা তার জিদ কে হার মানবেন না। তাদের গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে একটি শহর ছিল। ছেলেটি পড়াশোনার করবেন না বলে সে তার গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে যায় । সে শহরে একটি বিশাল উন্নত মানের পার্ক ছিল এবং সে ছেলেটি পার্কে যখন ঢুকতে যাচ্ছিল তখন সে পার্কের মালিক তার পোশাক দেখে তাকে সে পার্কে ঢুকতে দেইনা তাকে ধাক্কা দিয়ে বার করে দেই। তাকে অনেক গালিগালজ করে। সে মনে ভাবতে লাগল আমার মত অনেকে এরকম মানুষ আছে তাদের তারা এভাবে বাহির করে দেই , তাদের পোশাকের কারণে পার্কে যেতে পারেনা,তারা তাদের রঙের কারণে পার্কে যেতে পারেনা।
সে তাতে অতি রাগান্বিত হয়ে তার গ্রামের দিকে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল এবং সে তার দিলের ভিতরে একটি লক্ষ্য গেঁথে দেই যে পার্কের জন্য আমাকে আজ অপমান হতে হলো এই পার্ক একদিন কিনে ছাড়বে এবং আমার মতো লোকেদের জন্য পার্কে ঢুকা মুফত করবো। সে তার গ্রামে ফিরে আসে এবং তার পড়াশুনা এগিয়ে যেতে থাকে।
অবশেষে সে কিছু বছর অতিক্রম করার পর সেই পার্কের মালিক হয়ে যায়।
কেউ যদি তার জীবনে কোন কিছু করার লক্ষ্য রাখে তাহলে সে কোথা থেকে কোথা পৌঁছে যায় সে নিজেই জানে না যদি সে লক্ষ্যে তাকে পূরণ করার জন্য তার মধ্যে জুনুন কিংবা চাহাত তৈরি করে নেই।
আমরা সবাই অনেকে সিনেমা দেখি কিন্তু আসলে সিনেমা শুধু সিনেমা হয়না তাতে অনেক কিছু শিক্ষার বিষয় থাকে ।
একজন সিনেমা দেখার লোক সে যদি চায় একটা সিনেমার ভিতর থেকে কিছু শিক্ষা নিতে সে তাহলে অনেক কিছু শিক্ষা নিতে পারে।
আমরা জানি কিং খান যাকে সিনেমার জগতে বাদশা খান বলা হয় যার নাম শাহরুখ খান ওর একটা ফ্লিমের ডায়ালগ আছে সে বলে,
” আগার কোয় কিসি চিজ কো দিল সে চাহে তো উসে পুরি কাইনাত যুটানে লাগতি হ্যাই “
কোনো যুব যদি সত্যি তার লক্ষ্যের উপরে আমল করে তাহলে সে কোথা থেকে কোথা পৌঁছে যায়।
একজন ছাত্রকে সবসময় দরকার যে যখন সে কোন কিছুকে একটা লক্ষ্য উদ্দেশ্য তৈরি করে নেয় তখন তাকে দরকার যে সে তার লক্ষ্য কে অনেক ভালোবাসে একজন ছাত্রকে ভালবাসা দরকার এমন ভালোবাসা দরকার যে যেনো সে তার লক্ষ্যকে হাসিল করতে পারে। তার লক্ষ্যকে অর্জন করতে পারে।
তাহলে সে যখন তার লক্ষ্য কে ভালোবাসবে তখন তার লক্ষ্য ও তাকে ভালবাসবে।
“মঞ্জিল কাদাম চুমেঙ্গী
রাস্তা খুদ বান জায়গী
হসলা কার তু বুলান্দ্দ
তো আসমা ভি ঝুক জয়েগী”
তাহলে একজন ছাত্রকে দরকার সে যখন তার লক্ষ্য কে বানিয়ে নিবে সে তার লক্ষ্যে অনেক ভালোবাসা দরকার সে একজন ভালোবাসার জন্য যত কিছু করা দরকার তাকে তত কিছুই করা দরকার ।
একটি লক্ষ্যের জন্য যা যা প্রয়োজন যা পরিশ্রম করা দরকার সে পরিসংখ্যান মেহনত করা দরকার ।
তার লক্ষ্যকে অর্জন করার জন্য তাকে যতটা সময় দেওয়া দরকার তাকে ততটা সময় দেওয়া দরকার।
যুব বয়সে একটি শব্দ অতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইন্ডসেট শব্দটি এই শব্দটি কেউ যদি কারো জীবনে সেট করে নাই সে যদি কোন কিছু হওয়ার জন্য সেটাকে মাইন্ডে সেট করে নেই তাহলে সে সেটাকে পূরণ করেই ছাড়ে।
কোন ছাত্র যদি স্বেচ্ছায় তার জীবনে একটি আই পি এস অফিসার হতে চায় তাহলে এটি একটি আইপিএস অফিসার শব্দ সে যদি তার মাথায় বসিয়ে নেই বার বার চিন্তা করে বার বার ভাবে আমি একজন আইপিএস অফিসার হবো তাহলে সে অনেক কিছু করতে পারে ।
একবার বিজ্ঞানীরা একটি মাছকে নিয়ে তার একটি মাইন্ড সেট এর উপরে পরীক্ষা করছিল একটি তারা কাঁচের বাক্স নিল এবং তাতে কিছু পানি ছেড়ে তার মধ্যে একটি মাছ ছেড়ে দিল এবং তার এটাই চেয়েছিল মাইন্ডসেট এর কতটা পাওয়ার তারা যখন একটি মাছকে পানির মধ্যে ছেড়ে দিল তারা অপর দিক থেকে এক সপ্তাহ কিছু খাবার ছাড়তে লাগলো এক কোনায় এবং মাছটি প্রতিদিন খাবারের যাইগাই ওই সময়ে উপস্থিত হয়ে যেত। সে তার কিছু খাবার পাওয়ার জন্য এরকম এক সপ্তাহ চলতে থাকে। তারপর তারা আবার বিজ্ঞানীরা সেই খাবার তারা অপর কোনাই আবার এক সপ্তাহ ধরে খাবার ফেলতে লাগলো কিন্তু তারা দেখল যে মাছটিকে যে কোনায় প্রথমে তাকে খাবার দেওয়া হতো সে বারবার সেদিকেই যায় ।
কিছুদিন এভাবে কেটে যাওয়ার পর সে তার অপর দিকে যেতে লাগলো যেখানে খাবার ফেলা হতো।
আবার বিজ্ঞানীরা কিছুদিন অতিক্রম হওয়ার পর সবাই মিলে একটা প্ল্যান করল।
তারা একটি এমন কাঁচের টুকরো রাখা দিল যে দুদিকের পানি কে ভাগ করে দেয়া হলো। দুদিকে ভাগ করে দেওয়ার পর তারা আবার সেই প্রথম কোনায় খাবার ফেলতে লাগলো মাছটি প্রতিদিন সে কোণের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করত কিন্তু যে মিডিল একটি বাধা আছে রেখেছিল তারা সেটার জন্য সে যেতে পারত না এভাবে তারা সাতদিন রাখে । সাতদিন দিন পর সেই কাঁচের টুকরো সেখান থেকে তারা উঠিয়ে নেই এবং সেই জায়গাটি তারা খাবার খেলতে থাকে কিন্তু মাছটি প্রতিদিন কি করে সেই দিকে বেগে ছুটে চলে যায় কিন্তু যেখানে কাঁচের টুকরোর রাখা ছিল সেখান থেকে সে ব্যাক করে নেয় সে তার মাথায় ভেবে নিয়েছিল কাঁচের টুকরো ঠিক আছে ভেবে নিয়েছি কাচের টুকরো আছে ।
এতে থেকে বিজ্ঞানীরা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র বাহির করে “Mind Set is very important.” ছাত্রজীবনের মূল্যবান যখন কোন জিনিসকে করার জন্য সে তার মাইন্ড সেট করে নেই তাহলে সে সেটাকে সফল করতে তার জন্য তার জীবনের প্রতি সহজ হয়ে যায়
তাকে সব সময় কোন কিছুকে তার দিলের ভেতর থেকে চাওয়া দরকার নাকি তার ব্রেইন থেকে।
কেউ যদি তার ব্রেন থেকে কিছু চাই সেটা এক ধরনের চাওয়া হয় এবং কেউ যদি কোন কিছু দিল থেকে কোন কিছু হওয়ার জন্য চায় সেটা এক ধরনের চওয়া হয়।
কাউকে যদি যদি কোনো কিছু চাওয়ার থাকে তাহলে তাকে সবসময় ভালো চাওয়া দরকার। নাকি তাকে নেগেটিভ চাওয়া দরকার।
ছাত্র জীবনে সব সময় তাকে positive থাকতে হবে তাকে তার জীবনে কোনদিন Negative থাকতে হবে না ।
সে যদি কোনো কিছু করে তাহলে তাকে NO শব্দটি ভাবতেই হবে না । যদি ভাবতে হয় তাহলে তাকে no opportunity ভাবতে হবে না বরং এটাকে সব সময় মনে রাখতে হবে next opportunity.
আবার তুমি তোমার লক্ষ্য শুরু করো তাহলে তুমি সফলতা পাবে পাবে পাবে।।